তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এ আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নতুন চুক্তি ব্যর্থ হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর এটিই দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ শনিবার সকালে জানিয়েছে, আব্বাস আরাঘচির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মাস্কাটের উদ্দেশে তেহরান ত্যাগ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেন, তেহরান একটি বাস্তব ও ন্যায্য চুক্তির সন্ধান করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটন যদি সদিচ্ছা দেখায়, তাহলে আলোচনা এগিয়ে নিতে কোনো বাধা থাকবে না।
অন্যদিকে, আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই ইরান একটি চমৎকার, মহান, সুখী দেশ হোক। কিন্তু তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।” গত সোমবার তিনি আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন যে ইরানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানালেও ইরান একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনা চালাতে আগ্রহী।
ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানায়, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদির সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানি প্রতিনিধিদল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিকেলের দিকে বুসাইদি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
এই আলোচনার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে।
আরএন