ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে বালুবাহী ট্রাকের চাপা দেয়ার ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দু'জন।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের বৈশাখী মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল উদ্দিন।
নিহতরা হলেন- মোসাম্মৎ কুলসুমা বেগম (৯৫), তার মেয়ে মোসাম্মৎ দিলরুবা (৪০), দিলরুবার মেয়ে রীতি আক্তার (১৪) ও প্রীতি আক্তার (৭)।
আহতরা হলেন- দিলরুবার মেয়ে মাহি (১৬) ও তার আত্মীয় শ্যামলী (১৮)। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কুলসুম বেগমের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামে। দিলরুবা বেগম ময়মনসিংহ নগরের নাটকঘর লেনে বসবাস করতেন। সেখান থেকে ঈদ উদযাপন করতে তারা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
এসআই জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে যাত্রীবাহী ইজিবাইকটি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রাম দিয়ে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বৈশাখী মোড় পর্যন্ত আসতেই অটোরিকশাকে বালুবাহী একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান চার জন। এ সময় আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে পাঠায়।
মমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে চারটি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় মাহি আক্তার ও শ্যামলী নামের দু'জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহত দিলরুবার ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোনের স্বামী মানিক মিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন। আমার বোনের তিন মেয়ে। তাদের সঙ্গে আমার মা ছিলেন। ঈদ করার জন্য আজ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে গৌরীপুরের বৈশাখী মোড় এলাকায় একটি ট্রাক ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সংঘর্ষে আমার মা, ছোট বোন এবং দুই ভাগ্নি মারা গেছে। বড় ভাগ্নি মাহি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারে এমন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে এটি মেনে নিতে পারছি না। একই পরিবারের চার জনকে হারিয়ে আমার বোনের স্বামী মানিক পাগলের মতো হয়ে গেছে।’
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিহতদের মৃতদেহ মমেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এসআই/এমএ