ইসলামে অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। এই মাসেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিলো। রমজানে রোজা ও ইবাদতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন। রমজান মাসে যে কোনো ইবাদতের সওয়াবই বহুগুণ বেড়ে যায়।
রমজান মাসের মর্যাদা:
১. রমজান পবিত্র কুরআন অবতীর্ণের মাস।
২. ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন 'সওম' পালনের মাস।
৩. রহমত ও বরকতের মাস।
৪. গুনাহ মাফের মাস।
৫. ধৈর্য ও স্বরের মাস।
৬. জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত ও জাহান্নামের দ্বার বন্ধের মাস।
৭. শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার মাস।
৮. জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।
৯. কল্যাণ অর্জনের মাস।
১০. দু'আ কবুলের মাস।
১১. এ মাসের ওমরা, হজ্বের সমতুল্য।
১২. লাইলাতুল কদর সম্পন্ন মাস।
১৩. ইসলামের প্রথম বিজয় লাভের মাস।
১৪. প্রশিক্ষণ ও প্রতিরোধের মাস।
১৫. এ মাসে নফলের সওয়াব সুন্নাতের সমান, সুন্নাতের সওয়াব ফরজের সমান এবং একটি ফরজের সওয়াব কমপক্ষে ৭০ গুণ বেশি দেয়া হবে।
সওমের ফজিলত:
১. ফরজ পালনের সওয়াব লাভ।
২. জান্নাতে রোজাদারের জন্য নির্দিষ্ট দরজার ব্যবস্থা।
৩. জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী।
৪. কিয়ামতের দিনে সুপারিশকারী।
৫. নানা ধরনের ফিতনার কাফ্ফারা স্বরূপ।
৬. সওমের প্রতিদান আল্লাহ্ নিজেই দিবেন।
৭. জাহান্নাম থেকে বহু দূরে সরিয়ে নেয়া হয়।
৮. জান্নাতে বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা।
৯. রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর অনেক প্রিয়।
১০. রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে।
১১. রোজাদারের দু'আ কবুল করা হয়।
রমজান মাসে আমাদের করণীয়:
১. অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা।
২. ফরজ সালাত যথাযথ আদায় করা।
৩. তারাবির সালাত পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করা।
৪. সবার সাথে উত্তম আচরণ করা।
৫. অপচয় ও অপব্যয় থেকে বিরত থাকা।
৬. দুনিয়াবি ব্যস্ততা কমিয়ে দেয়া।
৭. বেশি বেশি দান খয়রাত করা।
৮. তাহাজ্জুতের সালাত আদায় করা।
৯. বেশি বেশি কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।
১০. বেশি বেশি ভালো কাজের তাওফিক কামনা করা।
১১. খুব বেশি বেশি জিকির করা।
১২. তওবা করা।
১৩. ওমরাহ আদায় করা।
১৪. ইতিকাফ করা।
১৫. রোজাদারদের ইফতার করানো।
১৬. বেশি বেশি দু'আ করা।
১৭. রমজানের শেষ দশককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।
১৮. শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে ক্বদরের আশা নিয়ে ইবাদাত করা।
এমএ