বাজারে তেল নেই, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দামের অস্বস্তি নিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। নিত্যপণ্য, ইফতার ও সেহরী সামগ্রীতে শুধুমাত্র শনিবারই বেড়ে গেছে অনেক দাম। কিছু কিছু পণ্যে স্থিতিশীলতা থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যে বেড়েছে মূল্য।
শনিবার সরেজমিনে সুনামগঞ্জের দিরাই বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১ হাজার টাকা, তরমুজ প্রতি পিছ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কমলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আপেল প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, আঙ্গুর প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, তেল (পলি) প্রতি লিটার ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, বোতল (সয়াবিন) লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২০ থেকে ২২ টাকা, ডাল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ২৪০ টাকা, মোরগ (ব্রয়লার) প্রতি কেজি ২০০ টাকা, টাইগার প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, ডিমের হালি (মোরগ) ৫০ ও হাঁস ৬৫ টাকা, বিভিন্ন প্রজাতির মাছে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা, গরুর গোশত প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, যা শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ৭৫০ টাকা। লেবুর হালি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, খিরা প্রতি কেজি ৬০ টাকা। যা কয়েকদিন আগের তুলনায় অনেক বেশি।
বাজার দর নিয় বিভিন্ন ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, সামনে রমজান মাস আসায় হঠাৎ অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে তেল নেই, মনে হচ্ছে রমজানকে সামনে রেখে ও অধিক মুনাফার লোভে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজার দরের বিষয়ে জানতে চাইলে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জীব সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সূত্রধরের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। শনিবারের বাজার দর নিয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
জানতে চাইলে অভিজিত সূত্রধর বলেন, আমি বেশ কয়েকটি দোকান ও ডিলারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি তেলের সংকট আছে। ডিলাররা জানিয়েছে, তাদের চাহিদা মতো কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ করছে না। তবে রোববার থেকে আবার নিয়মিত মনিটরিং শুরু হবে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাজার কমিটির সাথেও বৈঠক হয়েছে।
এবি/এমএ