লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে রাশেদ আলম নামে এক খামারির প্রায় ২ হাজার মুরগির বাচ্চা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা মুনছুর আহমেদ রামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাওয়ালিডাঙ্গার পূর্বপাড়া দীঘিরপাড় এলাকায় বড় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে মুরগির বাচ্চাসহ অবকাঠামোর একাংশ পুড়ে গিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে খামারির।
জানা যায়, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে খামার থেকে রাশেদ বাসায় যায়। এর আধাঘণ্টা পরই তার স্বজনরা খামারে আগুন জ্বলতে দেখে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খবর দেয়। পরে শোরগোল শুনে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই খামারের প্রায় ২ হাজার মুরগি আগুনে পুড়ে মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুনছুরের জেঠাতো ভাই সুমন বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত হতে পারে। তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।
রাশেদের বাবা মুনছুর আহমেদ জানান, মুরগির বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে গিয়ে আমার হাতের কয়েকটি অংশে দগ্ধ হয়েছে। কিন্তু মুরগিগুলোকে বাঁচানো গেল না।
রাশেদ আলম বলেন, ঋণ নিয়ে খামারটি করেছিলাম। দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে মুরগির বাচ্চাগুলো পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। খামারের আংশিক অবকাঠামো পুড়ে গেছে। এতে আমার স্বপ্নও পুড়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, মুরগির খামারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমইউ/আরএন