কনকনে ঠাণ্ডা আর প্রচন্ড শীত উপেক্ষা বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কুড়িগ্রামের উলিপুরের কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করছেন।
এদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে ইচ্ছামতো মজুরি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা চাষীদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি এই মৌসুমে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ২২ হাজার ৫৪০ হেক্টর। এরমধ্যে হাইব্রিড আট হাজার ৩৪০ হেক্টর, উফশী ১৪ হাজার ৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ১৫০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর। এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৩২ মেট্রিক টন।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান লাগানোর ব্যস্ততা। কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণ করছেন। গভীর, অগভীর পাম্প ও শ্যালো মেশিন দিয়ে চলছে সেচের কাজ। ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছেন অনেকে। কেউ চাষ করা উঁচু নিচু জমি সমান করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেন কৃষকদের দম ফেলার সময় নেই।
উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হাই জানান, এক একর জমিতে বোরো চারা রোপণ করেছি। এবার শ্রমিকের মজুরি বেশি। ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি। এ ছাড়া সার কিটনাশকের বাড়তি দাম তো আছেই। সব মিলে খরচ বেশি পড়বে।
একই ইউনিয়নের দিনমজুর শমছেল জানান, ৪০০-৫০০ টাকা আয় করে দিয়ে চলে না। তাই চুক্তিতে কাজ করি। এতে কিছুটা আয় বেড়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, কৃষকদের পরিবেশবান্ধব লাইন-লোগো পদ্ধতি ব্যবহার করে চারা রোপণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কারণ এতে রোগবালাই কম হবে এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে।
জেডএএস/এসআর