পৌষের মধ্য ভাগে এসে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ীতে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। সারা দিন সূর্যের দেখা না পাওয়ায় এবং উত্তর পশ্চিম দিক থেকে হালকা হিমেল বাতাস বইতে থাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণে গরীব অসহায় রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ ঠিকমত কাজে যেতে পারছেন না। ফলে তাদের কষ্টের মধ্যে দিন কাটতে হচ্ছে।
মধুপুরের আম্বাড়ীয়া গ্রামের দিনমুজুর মতিয়ার রহমান বলেন, শীতে কষ্ট সত্বেও পেটের দায়ে কাজে যেতে হচ্ছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, উপজেলার অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ভাবে ১ হাজার ৫০টি শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আবারো দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৫০টি শীত বস্ত্র কম্বল সরকারি ভাবে বরাদ্দ এসেছে দ্রুত বিতরণ করা হবে। শীতের শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা ও পৌরসভার প্রায় ৪ শতাধিক শীতার্ত অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে শীতবস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরাতন কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুযোগ বুঝে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। একটি সাধারণ পুরাতন সোয়েটার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মধুপুর ও ধনবাড়ী দুই উপজেলায় শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের সর্দি, কাশি, হাপানি রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালের ইনডোরে ৪/৫ জন শ্বাসকষ্টের রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও আউটডোরে ৩০/৪০ জন সর্দি, কাশি, হাপানি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনুর রহমান বলেন, উপজেলায় সরকারি ভাবে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। এই টাকা দিয়ে ২ হাজার ৩০০ কম্বল ক্রয় করা হয়। এর মধ্যে পৌরসভার শীতার্তদের জন্য ৬০০ কম্বল দেয়া হয়। এবং বাকী ১ হাজার ৭০০ কম্বল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের শীতার্তদের জন্য বিতরণ করা হয়।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ বলেন, সরকারি ভাবে বরাদ্দ পাওয়া শীতবস্ত্রসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সায়েম ইমরান রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি।
এইচআর/এমএ