৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও আসনবিন্যাস প্রকাশ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মিছিল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একদল জাবি শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
'সময় চাই সময় চাই যৌক্তিক সময় চাই, 'মোবাশ্বের এর গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে, 'এক দুই তিন চার মোবাশ্বের তুই গদি ছাড়, ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, "পিএসসি আমাদের সাথে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তারা আমাদের যৌক্তিক সময় দেয়নি, মাত্র ২ মাস সময়ে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সম্পুর্ণ করা সম্ভব নয়। আমাদের এখন পড়ার টেবিলে থাকার কথা কিন্তু আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, "দুইমাসের মধ্যে একটা বিসিএসের রিটেন পাস করা সম্ভব না। আমরা শুধু চাই যৌক্তিক ২-৩ মাস সময় বৃদ্ধি করা হোক। যেনো সিলেবাস শেষ করে সবাই পরীক্ষা দিতে পারে। এটা সমাধান করার জন্য ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা না। কমিশন যদি নিজেও চায় যে তারা এই সমস্যাটা সমাধান করবে, তাহলেও এটা ৫ মিনিটেই সমাধান হয়ে যাবে। তার উদাহরণ আমরা ৪৬ তম বিসিএসের পরীক্ষার সময় সংশোধন করতে দেখি।
প্রায় ৫ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ শেষে বিকেল সাড়ে ৫ অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে জনদুর্ভোগ কমাতে কয়েক দফায় থেমে থেমে সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেয়া হয়।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় ফুটওভার ব্রিজ ও ঘাতক চালকের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধ করার ফলে উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়লে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তুরাগ এলাকায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার ইংলিশ বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় আজ ফুটওভার ব্রিজ ও ঘাতক চালকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। দুপুর সাড়ে ৩টায় শিক্ষার্থীদের ফুটওভার ব্রিজ ও ঘাতক চালকের শাস্তির আশ্বাস দিলে মহাসড়ক ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা।
ওএফ/এসআর