Wednesday | 26 November 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Wednesday | 26 November 2025 | Epaper
BREAKING: কড়াইল বস্তিতে আগুন: পানি সংকটে নিয়ন্ত্রণে বেগ      কড়াইল বস্তিতে আগুন      উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন      বগুড়ায় দুই শিশু ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার      প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায় ১ ডিসেম্বর      মেট্রোরেলে চালু হলো ঘরে বসে অনলাইন রিচার্জ      ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি      

২১ মাস পর গ্যাস পেল যমুনা সার কারখানা

Published : Tuesday, 25 November, 2025 at 5:03 PM  Count : 65

দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) দীর্ঘ ২১ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত এ কারখানায় দীর্ঘদিন পর গ্যাস পাওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীসহ স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।

জেএফসিএল সূত্র জানায়, নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার (জিপিএফপিএলসি) উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি যমুনা সার কারখানায় গ্যাসের চাপ কমানো হয়। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (টিজিটিডিসিএল) রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয়। তবে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া উৎপাদনে যেতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত যমুনা সার কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে যায় ১৯৯১ সালে। শুরুতে দৈনিক এক হাজার ৭০০ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদন হলেও গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও নানা যান্ত্রিক জটিলতায় সর্বশেষ এক হাজার ৪০০ মে. টন পর্যন্ত উৎপাদন হতো।

বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ও কেপিআই-১ মানসম্পন যমুনা সার কারখানা দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানা প্রতিষ্ঠার আগে এটিই ছিল দেশের সবচেয়ে বড় সার কারখানা।

শুরু থেকেই এটি ময়মনসিংহ বিভাগ, টাঙ্গাইল ও উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলাসহ অন্তত ২১টি জেলার সারের চাহিদা মিটিয়ে আসছে। এ কারখানার সারের গুণগত মান উন্নত হওয়ায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটি বন্ধ থাকায় ভর্তুকি দিয়ে বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে সার আমদানি করে কমান্ড এরিয়ায় চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন চালু না থাকলেও প্রতিমাসে এখানে সরকারের খরচ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। চালু থাকলে প্রায় ৪২ হাজার মে. টন সার উৎপাদন সম্ভব, যা বাজারমূল্যে আয় প্রায় ১৫২ কোটি টাকা। উৎপাদন চালু থাকাকালীন মাসে ৯০ কোটি টাকা খরচ হলেও সবশেষে লাভ থাকে প্রায় ৬২ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে সব মিলিয়ে কারখানার দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ২২ মাসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩৪৪ কাটি টাকা। অপরদিকে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় মুল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

জানা গেছে, কারখানার দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছিলেন। দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে। গ্যাস সংযোগ সচল করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে উৎপাদন চালু হলেও ফের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেরামতের নামে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে যমুনা সার কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, "রবিবার সন্ধ্যায় তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ সচল করেছে। গ্যাসের চাপ কেমন এখনও তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গ্যাস পুরোপুরি রিসিভ করে উৎপাদনে যেতে ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।"

জেজে/ এসআর


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close