মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
অভিযোগের পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়াকে (৩৫) ধরে গণপিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। অভিযুক্ত শিক্ষককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশ ধর্ষক শিক্ষককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের ওপর। তাঁর কার্যালয় ঘিরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ওই ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে সব জানায়। সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার স্কুল খুলতেই অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ফুঁসে ওঠেন। তারা পিটিআই-এর সুপার মো. আমিনুল ইসলামের দায়িত্ব অবহেলার কারণে প্রত্যাহার ও বিচারের জন্য অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং শিক্ষকের ফাঁসি ও সুপারের পদত্যাগের দাবীতে শ্লোগান দেন।
এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে মাইকিং করেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. ফিরোজ কবির বলেন, “অভিযুক্ত রোমান মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সাইফুল আলম বলেন, রোমান মিয়ার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলা নং-২৬। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএইচএস/এসআর