দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কে বেপরোয়া বাসের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ একই পরিবারের ৪ জন নারী নিহত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের নশিপুর এলাকায় গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের সামনের মহাসড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের কুতৈড় মাঝাাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৫৫), আমিনুল ইসলামের স্ত্রী তানজিনা বেগম (৩১), আনোয়ার হোসেন সুমি আক্তার (৩৮) ও চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুস সালামের কন্যা সাদিয়া বেগম (১৭)। এদের মধ্যে মর্জিনা খাতুন, তানজিনা বেগম ও সুমি আক্তার সম্পর্কে একে অপরের জা এবং সাদিয়া বেগম মর্জিনা খাতুনের ভাগ্নি।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুজ্জামান ৪ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী ওয়াকা পরিবহনের একটি মেইল বাস (নারায়ণগঞ্জ জ -০৪ -০১৮৬) বেপরোয়া গতিতে দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর থেকে একটি ইজিবাইকে করে ৯জন যাত্রী কান্তনগর রাস মেলা দেখতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নশিপুর গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মর্জিনা খাতুন, তানজিনা বেগম, সাদিয়া বেগম মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস গুরুতর আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমি আক্তারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পর থেকে দিনাজপুর-দশ মাইল মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে রাস্তার দুই ধারে শতশত যানবাহন আটকা পড়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার ঘাতক বাসটি আটক করে পুলিশে কাছে দিয়েছে জনতা। তবে চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিহতদের মরদেহ থানা ও হাসপাতালে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।