ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সাধারণ মানুষ উদ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচন নিয়ে তারা উজ্জীবিত। কাজেই সকলের সহযোগীতায় আমরা একটি সুষ্ঠু, সফল নির্বাচন করতে পারি।
তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। এবার সকল বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবো। এবার স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে বিগত দিনের কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
শনিবার দুপুরে খুলনা পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংএ তিনি একথা বলেন।
এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনায় আর্মড, মেট্রোপলিটন, জেলা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনকালে সকল ইউনিটকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত খুব বেশী অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৯টি হত্যা ও ৩৭টি অন্যান্য মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৩০-৩১ জনকে এখনও আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি।
মিথ্যা মামলা দায়ের করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হলে তাদেরকে ১৭৩ অধ্যাদেশের মাধ্যমে অব্যহতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আদালতে সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএমপিকে ২ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে মামলায় হয়রানী না করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাপুলিশ পরিদর্শক বাহারুল আলম আরও বলেন, বর্তমান সরকার চাচ্ছেন একটি সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ফলে এবারের নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। এ কারণে আমরা ট্রেনিং নিয়ে প্রশিক্ষিত হচ্ছি।
এবার স্ব-উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিগত দিনের সবকিছু ঝেড়ে ফেলে একটি সু-শৃংখল নির্বাচন করা হবে। তবে, এর মধ্যে যেসব পুলিশ সদস্য এখনও সংশোধন হতে পারেনি বা পারবে না; নির্বাচনে তাদের মূল নেতৃত্বে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। বিতর্কিতদের চিহ্নিত করতে রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব বন্টনের সময় বিষয়টি দেখা হবে।
নির্বাচনে পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আইজিপি বলেন, মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। তবে, পুলিশের একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এজন্য সকলের সহযোগিতা নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
এ আই দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিস এবং ডিস ইনফরমেশন দিয়ে ফেইক নিউজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে- স্বীকার করে তিনি বলেন, এসব বিষয় দেখা হচ্ছে। তবে স্বাধীনতার নামে আপনি কতটুকু করতে বা লিখতে পারবেন সে বিষয়েও আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রেস ব্রিফিংএ খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত চিলেন।
এসএমএস/এসআর