জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিহত ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনের গ্রামের বাড়ি হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম। জুবায়েদের হত্যা সংবাদ শুনে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে। স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
এদিকে, বিচার দাবিতে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করে। নিহতের চাচা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তিনি আরও জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। এরপর জানাজা শেষে গ্রামেই তাকে দাফন করা হবে। জুবায়েদ হোসাইন হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসাইনের ছেলে।
ঘটনা প্রকাশ পাওয়া গেছে গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকায়, যেখানে টিউশনের ছাত্রীর বাসার তিনতলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে জুবায়েদ হোসাইন নিহত হন। ওই বাসার তিনতলার সিঁড়ি থেকে নিচতলার সিঁড়ি পর্যন্ত রক্ত ঝড়ে পড়েছিল, যা স্থানীয়রা লক্ষ্য করে। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত জুবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলা ১৫, নূরবক্স লেনে ‘রৌশান ভিলা’ নামে একটি বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। ওই ছাত্রীর বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।
কেএইচ/আরএন