সাভারের আশুলিয়ায় গর্ভবতী নারী শ্রমিক তাজমিনা খাতুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কানাডিয়ান মালিকানাধীন গিল্ডেন গ্রুপের তিনটি তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা টানা পঞ্চম দিনের মত কর্মবিরতী ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
রবিবার সকালে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহীনির সদস্যরা তাদেরকে সড়িয়ে দেয়।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার গিল্ডেন অ্যাক্টিভ ওয়্যার বিডি লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকেই কর্মবিরতীসহ বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় জামগড়া এলাকার গিল্ডেন গার্মেন্টস লিমিটেড ও নয়ারহাট এলাকার এসডিএস ইন্টারন্যাশনাল কারখানার শ্রমিকরাও। এঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মালিক কর্তৃপক্ষ তিনটি কারখানাই বন্ধ রেখেছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় গিল্ডেন গ্রুপের শ্রমিক তাজমিনা খাতুন (২৫)। তিনি নয়ারহাটের এসডিএস ইন্টারন্যাশনাল কারখানায় সুইং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, গর্ভবতী অবস্থায় অসুস্থ্য হলেও তাজমিনার ছুটি ও চিকিৎসা সহায়তা করেনি কর্তৃপক্ষ। সহকর্মীরা চাঁদা তুলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চাইলে তাতেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে যেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্রমিকদের দাবি, সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু বিদেশি কর্মকর্তা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণসহ নানা অনিয়ম করে চলেছে। এ সকল দায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারখানা ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
এসব বিষয়ে জানতে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওএফ/এসআর