জয়পুরহাটে স্ত্রী হত্যা: স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Published : Wednesday, 17 September, 2025 at 8:14 PM Count : 84

জয়পুরহাটে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি আবু বক্কর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এস. এম. হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার অতিরিক্ত পিপি (রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি) আহসান হাবিব চপল।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বারনা আকুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। নিহত শিরিণ আক্তার জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার রাঘবপুর বৈরাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর আবু বক্কর শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন। এ সময় তিনি প্রতিবেশী এক বিধবা নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী শিরিণ বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।

২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাতে আবু বক্কর রান্না করা তরকারিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্ত্রী শিরিণ আক্তার ও শাশুড়ি আমেনা বিবিকে তা খাওয়ান। পরদিন সকালে শিরিণের মৃত্যু হয় এবং আমেনা বিবিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ঘটনার পরপরই আবু বক্কর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

নিহত শিরিণ আক্তারের ফুফু ছুফিয়া বেগম বাদী হয়ে কালাই থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদের মধ্যে তিনজন—জয়গুন বিবি, গোলজার হোসেন ও তসকিন আলী—অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।

আসামি আবু বক্কর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এসআই/আরএন

সম্পর্কিত বিষয়: জয়পুরহাট