পাবনার ঈশ্বরদীতে সাঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসিবুর রহমান রহমান হাক্কে মন্ডল ও তার ছেলে কনক মন্ডলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার অপরাহ্নে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কনক মন্ডল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে 'ধানের শীষের স্থানীয় সমর্থকদের প্রচারণায় বাধাগ্রস্থ, মারপিট, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লিখিত নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয় বিএনপি নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। এসময় ভুক্তভোগী ব্যক্তির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন জনি নামে স্থানীয় এক প্রকৌশলী। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির একপক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ওই সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জনি অভিযোগ করেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর সাঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসিবুর রহমান হাক্কে মন্ডল ও ছেলে কনক মন্ডলের নেতৃত্বে 'সন্ত্রাসীরা' তার বড় ভাই যুবদল নেতা মনোয়ারুল ইসলাম হিটলারকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে পরিবার ও স্বজনরা হিটলারকে উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ওই বিএনপি নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উল্টো সাঁড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হাসান মামুন, যুবদল নেতা সোহান পারভেজ বিপু, শিহাব হাসান ও মো. শিমুল, তার ভাই হিটলারসহ ২৪ জন বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি নেতা হাসিবুর রহমান হাক্কে মন্ডল ও ছেলে কনক মন্ডলের রিরুদ্ধে দলের অনেক নেতাকর্মীদের উপর হামলা, গুলিবর্ষণ, টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট, অস্ত্রপ্রদর্শনসহ বেশকিছু ফিরিস্তি তুলে ধরে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাঁড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী খাঁন, বিএনপি নেতা ফিরোজ ইফতিখার পাপ্পা, যুবদল নেতা আবির হাসান মামুন, সোহান পারভেজ বিপু।
উল্লেখ্য, স্থানীয় বিরোধের জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর সাঁড়ার আরামবাড়িয়ায় যুবদল সদস্য সোহান পারভেজ বিপুর প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা হাক্কে মন্ডল ও ছেলে কনক মন্ডলের মধ্যে সংঘর্ষ, মারপিট ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন।
অভিযোগ সম্পর্কে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাক্কে মন্ডল মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত এ ধরনের অভিযোগ করেননি। 'তবে কেন অভিযোগ আনা হয়েছে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না বলে জানান।
কেএমএইচ/ এসআর