ব্যবসা-বান্ধব অনুকূল পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় আমদানি-রপ্তানিকারকদের দৃষ্টি এখন মোংলা সমুদ্রবন্দরের দিকে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই বেড়েছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং। বন্দর ব্যবহারকারীদের সুবিধা অব্যাহত রাখতে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে বন্দরের সক্ষমতা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ ও ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউ (TEUs)। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৯ টিইইউ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ মাকরুজ্জামান মুন্সি জানান, গেল অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। তাই মাত্র দুই মাসেই রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের প্রত্যাশা, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ ও নানা সুবিধা বিদ্যমান থাকায় দেশি-বিদেশি আমদানি-রপ্তানিকারকদের নজর এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলার দিকে। কারণ, চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন সহজ এবং খরচ সাশ্রয়ী। তাই মোংলা বন্দরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বন্দরে বাস্তবায়ন হচ্ছে নানা প্রকল্প। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো:
মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন
পশুর চ্যানেলের সংরক্ষণমূলক ড্রেজিং
নতুন জেটি নির্মাণ
এবং ছোট-বড় আরও অনেক প্রকল্প
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) আবেদ আলী বলেন, শুধু মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আয় নয়, এ বন্দরের মাধ্যমে মোংলা কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসএস/আরএন