বাগেরহাটে চারটি আসন পূর্ণবহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। টানা দুই দিনের হরতাল শেষে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আবার চার দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী রবিবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিস ও আদালত ঘেরাও এবং অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আসন পুনরুদ্ধারে গঠিত সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মো. ইউনুস জানান, “আমাদের পূর্বঘোষিত দুই দিনের হরতাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হচ্ছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস-আদালত ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি হবে। আর সোম, মঙ্গল ও বুধ সকাল-সন্ধ্যা ১২ ঘণ্টা করে হরতাল চলবে। রাতে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা না হলে আমরা আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। ইতোমধ্যে আমাদের আইনজীবী প্যানেলকে হাইকোর্টে রিট দায়েরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট উপজেলা, বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা উপজেলা, বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা উপজেলা।
দীর্ঘদিন ধরে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল: বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট, বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া, বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা।
জেইউ/আরএন