জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি এবং নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার কিছু আগে মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ–সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান এবং ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে স্থাপিত ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল গণনা করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এবং সেখানেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুটি অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। এছাড়াও রয়েছে আরও তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি ১০ম জাকসু নির্বাচন এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এমএ