ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে দুইটি মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম মানিক (৪১), শৈলকুপা উপজেলার জালশুকা গ্রামের মুকুল শিকদারের ছেলে টুটুল শিকদার (৩৫), ঝিনাইদহ সদর থানার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রিপন হোসেন (৩৩), কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার উজান গ্রামের আফিল উদ্দীনের ছেলে শাহিন (২৫), ইবি থানার বেড়বাড়াদী (হরিনারায়ণপুর) গ্রামের আফান শেখের ছেলে দুলাল শেখ (৪৫),
ও মোকাদ্দেস হোসেন মোকা (৪৫)।
আটককৃতরা সবাই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একটি ডাকাতির মামলার সূত্র ধরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে আটক করে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারের ফল ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান রাতে বাড়ি ফেরার পথে, ৩/৪ জনের একটি ডাকাত দল সড়কে তাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা-পয়সা লুট করে নেয়। পরে তাকে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।
এছাড়াও ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে একটি আলমসাধুও ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাবলুর রহমান কোটচাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে।
কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতব্বর জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, আটককৃত ডাকাত দলের কেউই কোটচাঁদপুরের বাসিন্দা নন—তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এখানে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। আটককৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় ৫-৬টি করে মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তদন্তের মাধ্যমে এই ডাকাতির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরইউ/আরএন