বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেছেন, বিএনপির ১৯ দফা কর্মসূচি এবং সরকার গঠন করলে জাতীয় নির্বাচনের পর যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে তা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দীর্ঘদিন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত জনগণ তাদের পছন্দের নেতাদের কাছ থেকে দেশ গঠনের পরিকল্পনা জানতেই চাইবে, এটি স্বাভাবিক।
রোববার দিনভর সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নওশাদ জমির বলেন, “দেশ গঠনে প্রান্তিক মানুষের ভূমিকা অপরিসীম। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির পরিকল্পনা এখন গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।”
জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিএনপি সরকার গঠন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ১৮০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সেই ঘোষণা পত্র নিয়ে গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি বিএনপির ১৯ দফা ও ১৮০ দিনের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন এবং এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা ও কৃষিসহ ২৩টি উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে এই কর্মসূচিতে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, “মামলা, গুম ও মৃত্যুর শঙ্কা নিয়েও গত ১৭ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। মূলত মানুষের খোঁজখবর নেওয়া ও বিএনপির ১৮০ দিনের পরিকল্পনা তাদের কাছে তুলে ধরা এই কর্মসূচির লক্ষ্য।”
গণসংযোগ চলাকালে নওশাদ জমির নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রীনা পারভিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রুবেল পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাবু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি লায়লা আরজুমান মুক্তিসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এসআইএস/এসআর