রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো সরকারি নির্দেশনা ছাড়াই সেবা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। বিকেলে চিকিৎসা নিতে হলে এখন তাদের বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রটি বন্ধ অবস্থায় পেয়েছেন।
অন্যদিকে রাজশাহী সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, শুধু পবা নয়, সারাদেশেই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এটি পুনরায় চালু করতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন রিফর্ম প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকালে আউটডোরে ২ টাকার টিকিট কেটে অন্তত ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন। তবে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সরকারি উদ্যোগে বৈকালিক সেবা ২০০ টাকায় চালুর পর শুরুতে কিছু সাড়া পাওয়া গেলেও কয়েক মাসের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এপ্রিলে রোগী ছিলেন ৭২ জন, মে মাসে ৯৪ জন, জুনে ৮৮ জন এবং জুলাইয়ে ৭৬ জন। এরপর হঠাৎ করেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, হাসপাতালে বৈকালিক সেবার ভবনে তালা ঝুলছে। প্রধান ফটকের পাশে গরু বাঁধা রয়েছে এবং জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক উপস্থিত না থাকলেও চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন।
সিভিল সার্জন ডা. এস আই এম রাজিউল করিম বলেন, “শুধু পবাতেই নয়, সারাদেশেই এ সেবা বন্ধ আছে। রোগী না আসার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি ভাবে বন্ধ না হলেও এটি চালু করতে নতুন ভাবে সংস্কার দরকার।”
আরএইচ/এমএ