পঞ্চগড় সদর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যে সেবাগ্রহীতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন—এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অফিসের ভেতর থেকে চারজন দালালকে আটক করা হয়।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরে আটককৃতদের পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ইকবাল হাসান বাদী হয়ে সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন: পঞ্চগড় পৌরসভার কায়েতপাড়া এলাকার কোরবান আলী ও আব্দুল কাদের, সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের হাসিনুর রহমান এবং চেকরমারী এলাকার সলেমান আলী।
দুদক সূত্র জানায়, তাদের এনফোর্সমেন্ট টিম দীর্ঘ সময় ছদ্মবেশে সেটেলমেন্ট অফিসে অবস্থান করে দালালদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও কথোপকথন রেকর্ড করে। দেখা যায়, দালালরা অফিসের ভেতর কর্মচারীর ছদ্মবেশে থেকে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। পরে পরিচয় প্রকাশ করে দুদক সদস্যরা চারজনকে আটক করেন এবং উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের সামনে হাজির করেন।
ইকবাল হাসান জানান, তাদের বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল। তবুও তারা অফিসে কর্মচারীর ছদ্মবেশে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজমীর শরীফ মার্জি, সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন এবং পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যরা।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, দুদকের অভিযানে আটক চারজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, সেটেলমেন্ট অফিসে ভূমি সেবা নিতে আসা জনগণের কাছ থেকে দালালচক্র দ্রুত কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকাল থেকে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করি। পরে অভিযোগের সত্যতা মিললে সরাসরি অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার জানান, তাদের আগে থেকেই বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসআই/আরএন