সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফ্যাটে ঢুকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
শনিবার রাতে সাভারের আলমনগর সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটির নাসির উদ্দিনের বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার কিংবা ডাকাত দলের কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ঘটনায় ওই বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয়দের মাধে আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ডাকাতি হওয়া ফ্ল্যাটের গৃহকর্তী বলেন, রাতে বাইরে থেকে দরজা নক করায় আমার ছোট বাচ্চাটা দরজা খুলেছে। এ সময় কয়েকজন লোক নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরে বলে এখানে সুমন নামে একজন লোক পালিয়ে আছে আমরা তাকে খুঁজতে এসেছি। তখন আমি বলেছি আপনারা ডিবির লোক হলে আমাদেরও পরিচিত ডিবির লোক আছে তাকে ফোনে ধরিয়ে দেই। এ কথা বলার পর তারা বলে আপনাদের ফোন কোথায়, কাউকে ফোন করতে হবেনা। এরপর তারা দরজা-জানালা সব লাগিয়ে দিয়ে আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতরা আমার বড় ছেলে ও তার স্যারকে হাত-পা বেঁধে রান্না ঘরে ফেলে রাখে। এ সময় আমি ভয়ে তাদেরকে বলেছি আপনাদের যা কিছু নেয়ার নিয়ে যান কিন্তু আমাদের কাউকে মারবেননা।
তিনি বলেন, ১০-১২ জনের ডাকাত দলের মধ্যে একজন ডিবি পুলিশের পোশাক পরা ছিলো। তারা খুঁজে খুঁজে বাড়িতে থাকা আলমারি ভেঙ্গে ৬ ভরি স্বর্ণ, ১২ ভরি রুপার গহনাসহ নগদ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। একজন ডাকাত আমার গলা এবং কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কারগুলো খুলে নেয়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সবাইকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে সবকিছু দেখে গেছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওএফ/এমএ