বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসাহাক মাঝি অভিযোগ করে বলেছেন, চাঁদা হিসেবে ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র চলছে।
শনিবার সাংবাদিক ফোরামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি, দেশের জন্য রক্ত দিয়েছি। অথচ যারা যুদ্ধের ময়দানে ছিল না, তারাই আজ আমাকে ভুয়া বানানোর চেষ্টা করছে। এটি শুধু আমার নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।”
ইসাহাক মাঝির দাবি, সাবেক ইউপি সদস্য জালাল গাজী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, “২০১৫ ও ২০২২ সালে জালাল গাজী বৈধভাবে আমার বয়সের প্রত্যয়ন দিলেও এখন সেটি অস্বীকার করছেন। ইউপি সদস্য থাকাকালে রাস্তার কাজের নামে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। সেই লুটপাটে সহায়তা না করায় প্রতিশোধ নিতে আজ আমাকে ভুয়া বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় জালাল গাজীর ভাই জামাল গাজী ইচ্ছাকৃতভাবে তার বয়স কমিয়ে দেন। পরে প্রতিবাদের পর ২০১৫ সালে জালাল গাজী বয়স সংশোধন করে বৈধ প্রত্যয়ন দেন এবং ২০২২ সালেও একই প্রত্যয়ন দেন। এরপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও চাঁদার দাবির মাধ্যমে তাকে হয়রানির চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইসাহাক মাঝি সরকারের কাছে দাবি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্নকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আইনের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি সদস্য জালাল গাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এইচএম/এসআর