ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফ্যাবিও ডেইভসন লোপেজ বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার পিটার শিলটনের করা সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
শিলটনের ১৩৮৭ কিংবা ১৩৯০ ম্যাচ খেলা নিয়ে আলোচনা রয়েছে। সে কারণে আরও এক ম্যাচের অপেক্ষা ছিল ফ্যাবিও’র। মঙ্গলবার রাতে তিনি ১৩৯১তম ম্যাচ খেলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।
এ তথ্য জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। ৪৪ বছর বয়সী ফ্যাবিও মঙ্গলবার ক্লাবটির হয়ে কোপা সুদামেরিকানার ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। যেখানে আমেরিকা ডি কালির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ফ্যাবিও’র ফ্লুমিনেন্স। পেশাদার ফুটবলে তার অভিষেক হয় ১৯৯৭ সালে। ফ্যাবিও’র ২৮ বছরের পুরো ক্যারিয়ারই ছিল ব্রাজিলে, ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলে ফেললেন ১৩৯১ ম্যাচ।
ফ্লুমিনেন্স ছাড়াও তিনি খেলেছেন উনিয়াও বান্দেইরান্তে, অ্যাতলেটিকো পারানায়েস, ভাস্কো দ্য গামা ও ক্রুজেইরোর হয়ে। এর মধ্যে ক্রুজেইরোর জার্সিতে (২০০৫-২০২২) ফ্যাবিও সর্বোচ্চ ৯৭৬টি ম্যাচ খেলেন। মঙ্গলবার বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দিনে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে তার ম্যাচটি ছিল ২৩৫তম। এছাড়া ভাস্কো দ্য গামার হয়ে দেড়শ ম্যাচ খেলেছেন ফ্যাবিও।
গিনেসবুক রেকর্ডের তথ্যমতে- ইংলিশ ফুটবলার শিলটনের ১৩৯০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল। যদিও তিনি ১৩৮৭ ম্যাচ খেলার কথা জানান। ফলে কখনও ব্রাজিলের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পাওয়া ফ্যাবিও’র লক্ষ্যমাত্রা কত ছিল তা নিয়ে দ্বিধা ছিল এতদিন।
১৯৯৭ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন ফ্যাবিও। এরপর ক্যারিয়ারে বাকিটা সময় কেটেছে বিভিন্ন ক্লাবে। বর্তমানে ৭৫ বছর বয়সী শিলটন ক্লাব ক্যারিয়ারে ১২৪৯ এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ১২৫ ম্যাচ খেলেছেন। সে হিসেবে তার ম্যাচসংখ্যা হয় ১৩৭৪। অর্থাৎ, বিভ্রান্তি থাকছেই!
ইংল্যান্ড ফুটবলের অনলাইনভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘এক্সটারনাল’ বলছে, শিলটন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেন। যা যোগ করলে তার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ দাঁড়ায় ১৩৮৭–তে। তবে সেটি সিনিয়র দলের ম্যাচ হিসেবে গণ্য হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিতর্ক এড়িয়ে ১৩৯১ ম্যাচ নিয়েই ফ্যাবিও বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন।
সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার- ফ্যাবিও- ১৩৯১, পিটার শিলটন- ১৩৮৭/১৩৯০, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো- ১২৮৩, পল বাস্তোক- ১২৮৪, রজারিও সেনি- ১২২৬।
এমএ