সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন পাবনার চাটমোহর থানার এএসআই শাকিল আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এএসআই শাকিল আহমেদ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা ও চাটমোহর থানায় কর্মরত। অপরদিকে প্রবাসীর স্ত্রী মাসুরা খাতুনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়। তিনি গুনাইঘাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য বজলুল হকের ছেলে প্রবাসী শহীদের স্ত্রী।
প্রবাসীর পরিবার ও শাকিলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই প্রবাসীর স্ত্রী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে চাটখিলে একটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই ঘরে তার একটি সন্তান আছে। বিয়ের কিছুদিন পরে বনিবনা না হওয়ায় সেই সংসার ছেড়ে ঢাকাতে অবস্থান নেন মাসুরা। সেখানে শহীদ চাকরির সুবাদে একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। পরে শহীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পরে মাসুরার বাবা শহীদকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়।
অপরদিকে, মাসুরা-শহীদের পরিবারের সাথে বনিবনা না হওয়ায় চাটমোহর পৌর সদরের চৌধুরীপাড়ায় দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন মাসুরা।
এদিকে, এএসআই শাকিল আহমেদের প্রথম স্ত্রীর একটি সন্তান হওয়ার পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে পুলিশে চাকরিরত আরেক নারী পুলিশ কনস্টেবলের সাথে বিয়ে হয় এএসআই শাকিলের। সেই সংসারে দুই সন্তান আছে।
প্রায় ছয় মাস আগে চাটমোহর থানায় পোস্টিং হলে থানার পেছনে চৌধুরীপাড়ায় বসবাসরত মাসুরার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে শাকিলের। সেই সুবাদেই শাকিলের নিয়মিত যাতায়াত ছিল মাসুরার বাড়িতে। পরে শাকিল মাসুরাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার লাপাত্তা হয়ে যায়। উভয় পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো হদিস পায়নি।
বিষয়টি নিয়ে চাটমোহর পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মাসুরা খাতুন ও শাকিলের শাস্তির দাবি জানায় শহীদের পরিবার।
এ ব্যাপারে এএসআই শাকিলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। তবে শাকিল বাসায় আসেনি।
এ ব্যাপারে সিনিয়র এএসপি (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার জানান, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। এএসআই শাকিলের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরআর/এমএ