ডিজিটাল যুগেও থেমে নেই প্রতারণা। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের ফজলু হক আকন্দ নামের এক ভণ্ড কবিরাজের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ফজলু হক আকন্দ নিজেকে ‘মুস্কিল আসান’ দাবি করে প্রলোভন দেখিয়ে নানারকম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, প্রেমে ব্যর্থতা, পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়া, অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা, শত্রু দমনসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তাবিজ-কবজের মাধ্যমে করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। বিপদে পড়া মানুষ এসব আশ্বাসে ভরসা করে তার কাছে ছুটে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি দাবি করেন যে, তার কাছে থাকা ‘জ্বিন’ তাকে এসব কাজে সহযোগিতা করে। জ্বিনের সাহায্যে তাবিজ তৈরি বা মাটির নিচ থেকে তুলে এনে সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। প্রতি রোগীর কাছ থেকে ন্যূনতম ২০০ টাকা নেন, আর কাজের ধরন অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারীদের জড়িত করে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামপুর পৌর শহরের দক্ষিণ দরিয়াবাদ গ্রামের আবেদা বেগম জানান, পেটের ব্যথার চিকিৎসা নিতে গিয়ে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। কটাপুর গ্রামের সালমান মিয়া বলেন, স্ত্রী সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের আশায় অনেক টাকা দিয়েও প্রতারিত হয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন টনকি বাজারের জুয়েল মিয়া, পচাবহলা গ্রামের রাসেল মিয়া এবং জামথল গ্রামের মছিরন বেগম। তারা জানান, তাবিজ-কবজের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান পাওয়ার আশায় টাকা দিলেও কোনো ফল মেলেনি।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান হাসান বলেন, “আমার জানা মতে ফজলু হক আকন্দ ভণ্ড জ্বিনের কবিরাজি করেন, তার কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।”
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, “এ ঘটনার বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলএইচএল/এসআর