গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার সমতল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি। এই সড়কে কোমরসমান পানি উঠেছে। এছাড়াও, কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহালছড়ি উপজেলার সাথে সংযুক্ত মুবাছড়ি ইউনিয়নের একমাত্র সড়কে কোমরসমান পানি উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মহালছড়ির সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রীজপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। তাদের বসতঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে, মহালছড়ি সদর থেকে মুবাছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ব্রীজপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তিতাস চাকমা জানান, “গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পানি আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। সাপ, পিঁপড়ে এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রবে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে আছি।”
আরেকজন বাসিন্দা বিপুল চাকমা বলেন, “এর আগেও একবার বন্যা হয়েছে। ব্রীজপাড়ার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গিয়েছিল। ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। বিশেষ করে রাতে অন্ধকারে বৃদ্ধ ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্ট হয়েছে।”
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সবার জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন, তাদের জন্য দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”
এমসি/আরএন