উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তার পানি ফের বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে পানি। বন্যার আশঙ্কা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন।
এদিকে, পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছেন তিস্তা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
রোববার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদী ভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ তিস্তার চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, 'উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, 'উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষের সতর্ক অবস্থান থাকতে বলা হয়েছে।'
এমএস/এমএ