টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় মুন্নী বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাইস্কা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে নিজ বাড়ির বারান্দার আড়ার সঙ্গে ছাগলের নাইলনের রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মুন্নীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুন্নী বেগম জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল চর এলাকার মৃত আ. আজিজের মেয়ে। প্রায় ২৫ বছর আগে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার প্যারিআটা গ্রামের মাসুদ রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই বাবু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “বুধবার সকালে আমার বোন জামাই মাসুদ রানা ফোন করে জানান, মুন্নী আত্মহত্যা করতে পারে। পরে আবার ফোন করে বলেন, মুন্নী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মুন্নীর গলায় রশি থুতনির নিচে আটকে ছিল এবং পায়ের নিচে একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ছিল। আমাদের ধারণা, মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারা প্রায়ই মুন্নীকে মারধর করত। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
নিহতের মেয়ে আয়েশা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার মা ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করার মতো কেউ নন। আমি চাই, সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
স্বামী মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, ৬ বছর আগে মুন্নী বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে দেখি তিনি ফাঁস দিয়েছেন।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. শহিদুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচআর/আরএন