রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে চুরি ও ডাকাতির আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী। ১৮ জুলাই কালিদাসখালী চরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক রাতে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর চার দিন আগে ৫টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
এরপর থেকে চরের মানুষ রাত জেগে পাহারা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি রাতে পদ্মা নদীর তীরবর্তী সাত কিলোমিটার এলাকায় ১০০ জন মানুষ বাঁশের লাঠি ও বাঁশি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পাহারা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, ১৮ জুলাই রাত দেড়টার দিকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাসখালী চরে একরাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়ে ট্রলারযোগে নদীপথে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার চার দিন আগে, ১৫ জুলাই চকরাজাপুর বাজারে পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার যোগে পালিয়ে যায়।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আজম বলেন, গত এক মাসে পুরো এলাকায় ১০টি চুরি ও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে চরের মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে। চরের মানুষ নিরুপায় হয়ে রাত জেগে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি হাতে নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। তিনি চরে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, দৌলতপুর, লালপুর ও বাঘার চর এলাকা নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গড়ে উঠেছে। তারা মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে রক্ষার জন্য চরের মানুষ একত্রিত হয়ে পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
বাঘা থানার ওসি আফম আছাদুজ্জামান বলেন, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন একটি দুর্গম এলাকা। এখানে সংঘবদ্ধ একটি চক্র নিরাপদ মনে করে চুরি ও ডাকাতির চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে চার দিনের ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
এএইচ/আরএন