রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর হাইস্কুল ভাঙনের মুখে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে স্কুলটি পদ্মা নদীর গর্ভে চলে যাবে। শিক্ষার্থীরা স্কুলটি রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে। এদিকে ক্লাসে মন দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই স্কুলের মাঠ ও চারটি টিনের ঘর পদ্মায় চলে গেছে।
জানা যায়, স্কুলটি ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছে। ভাঙনের কারণে ১৯৯৮ সালে, ২০১২ সালে ও ২০১৮ সালে স্থানান্তর করা হয়। এবারো ভাঙনের কারণে স্থানান্তর করতে হবে।
এ বিষয়ে রোববার (২৭ জুলাই) চকরাজাপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে স্কুল। পদ্মার ভাঙন থেকে স্কুলের মাঠ ও টিনের ঘর পদ্মায় চলে গেছে। যে কোনো সময় পাকা ভবন পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থা দেখে শিক্ষার্থীরা মাটি কেটে বস্তা ভর্তি করে স্কুলটি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। ভাঙনের ভয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মন দিতে পারছেনা।
চকরাজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, এই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩৭ জন। পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের মাঠ পদ্মায় চলে গেছে। চার কক্ষের টিনের ঘর সরিয়ে নিয়েছি। স্কুলের ৩ কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন ও টিনের আরও ৪ কক্ষ ঘর ভাঙনের মুখে অবস্থান করছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষ্মীনগর মৌজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলোর স্থান বলতে কিছু নেই। সম্পূর্ণটা নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া ভাঙনে চকরাজাপুর চরের শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত বিঘা জমিতে রোপণ করা আমবাগান, কুলবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এএইচএ/এসআর