বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'ষড়যন্ত্রকারীরা ফাঁদ পাতছে যেন আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন করি। এমন একটা অবস্থা তৈরি করি যেন গণতন্ত্রের উত্তোলনটা ব্যাহত হয়। এটাতে আমরা পা দেব না। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে, সহনশীলতার সঙ্গে, শান্তির সঙ্গে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাব।'
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রদল আয়োজিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা চাচ্ছি বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি হোক। মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করুক এবং তার জন্য সংস্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা প্রায় একমত হয়েছি।'
তিনি প্রশ্নের সুরে বলেন, 'গোলমালটা শুরু হয়েছে যখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা ঠিক হলো তখন থেকেই। লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে গোলমালটা শুরু হয়েছে, অর্থাৎ নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ দেশের মানুষ বরাবরই লড়াই-সংগ্রাম করে দাবি আদায় করেছে এবং এই নির্বাচনও অবশ্যই এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করেছিলেন। কারণ বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশের একটা দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো একটা দেশ হিসেবে দেখতে চায়।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ভাবে নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। এমনকি তারেক রহমান সম্পর্কেও অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'এটা কেন করা হচ্ছে? তারা ভয় পেয়েছে। কারণ তারেক রহমান জাতীয় নেতা হিসেবে অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সুতরাং তিনি যদি ফিরে আসেন তা হলে তারা যাবে কোথায়।'
তিনি বলেন, 'আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। আমাদের শত্রু চতুর্দিকে। আমাদের শত্রু না, গণতন্ত্রের শত্রু। বিএনপির শত্রু না মনে রাখবেন। বিএনপি ইজ ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্র)। বিএনপি ইজ ফ্রিডম (মুক্তি)। বিএনপি হচ্ছে উন্নয়ন।'
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এমএ