ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই যানজট দেখা গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে খড়িয়ালা, এরপর শান্তিনগর হয়ে বিশ্বরোড মোড় ও ইসলামাবাদ এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত; বিটুমিন-পাথর উঠে গিয়ে যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সমুদ্র উপকূলে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করায় সড়কটি এখন চলাচলের জন্য প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আটকে পড়েছে। ফলে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঢাকাগামী ট্রাকচালক মন্টু দাস বলেন, “এই যানজটে একবার পড়লে সারাদিন নষ্ট হয়ে যায়। গর্তে পড়লেই গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
সিলেটগামী কাভার্ড ভ্যান চালক ওসমান মিয়া বলেন, “বৃষ্টি একটু হলেই রাস্তা ভেঙে যায়। দ্রুত সংস্কার না করায় যানজট লেগেই থাকে। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
একপর্যায়ে যাত্রীদের অনেককে ভিজে গন্তব্যের দিকে পায়ে হেঁটে রওনা হতে দেখা গেছে। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবাইকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে মহাসড়কের সমস্যা আংশিকভাবে সমাধান হয়েছিল। তবে সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে আবারও আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের হাটিহাটি ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, যার ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। আমাদের সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।”
এসআর/আরএন