খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৩টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের হেডকোয়ার্টার এলাকায় স্টিল ব্রিজের নিচ দিয়ে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে, ফলে দীঘিনালা উপজেলার সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লোকজন নৌকায় পারাপার করছে। লংগদুগামী পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো সড়কে আটকা পড়ে আছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর, চিটাগাংইয়্যা পাড়া, হাজাছড়ার একাংশ, কুমিল্লা পাড়া, ৩ নম্বর কলোনি ও মেরুং বাজারের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনা চাকমা জানান, “ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার ৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। যদি পানি আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে সন্ধ্যার পর আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের সংখ্যা বাড়বে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর জন্য খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হবে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জুন দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্রথমবারের মতো প্লাবিত হয়েছিল।
লংগদু থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মাহিন্দ্রা চালক মো. নুর নবী বলেন, “লংগদু থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছি দীঘিনালা উপজেলায় যাওয়ার জন্য, কিন্তু মেরুং ইউনিয়নের বড়মেরুং স্টিল ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গাড়ি পার করা সম্ভব হচ্ছে না।”
দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার সুভূতি চাকমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এসআর/আরএন