টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন খুলনার ডুমুরিয়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নিম্নআয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। টানা এ বর্ষণে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে গো খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। রাত দিন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে খাল বিলে অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে নেট দিয়ে মাছ ধরছে। এর ফলে পানি দ্রুত সরে যেতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার রাতের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ডুমুরিয়া বাজার, মানুষের ঘর-বাড়িসহ ১৪টি ইউনিয়নের লীজ নেয়া ঘের সবজির ক্ষেত ও রাস্তাঘাটসহ অনেক বাড়ির নিচতলা। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করছে নোংরা পানি। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রোববার দিবাগত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নদীতে নামার খালগুলো দখল করে ভরাট করাসহ ধীর গতিতে ড্রেন নির্মাণ এ অবস্থার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। অবিলম্বে এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় রেকর্ড ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রাত ১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার।
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়ন, টিপনাদুনিয়া, গোনালীবামুন্দিয়ার বিল, ডোমরার বিল, চেচোড়িয়ার বিল, বিল শিংগা, চহেড়াবিল, বিল খুকশির বিল, বিল তলিয়া, ডোমড়ার বিল, বিল ডাকাতিয়াসহ দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় শত শত বিল ও নিচু এলাকার অধিকাংশ আবাসিকের বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
সকল রাস্তায় পানি। খুলনায় রাস্তায় পানির কারণে মানুষ বাজারে যেতে পারছেন না। কোনটি রাস্তা আর কোনটি ড্রেন চেনার উপায় নেই। অধিকাংশ রাস্তা পানির নিচে। ফলে চলতে পারছে না ভ্যান ইজিবাইকও। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে খুলনাসহ ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নবাসী।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া বাজারে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল আমিনের নিকট আবেদন করেন। পরে ইউএনও চেয়ারম্যান ও প্রসাশনিক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ড্রেন সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এমএইচ/এমএ