নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন নারী, একজন চোরাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও দুইজন দস্যু ‘শামীম বাহিনীর’ সদস্য রয়েছেন।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, দুই বোতল চেতনানাশক ওষুধ, ২২ ভরি ১২ আনা ৪ রতি স্বর্ণালংকার এবং ১০ ভরি ১৩ আনা রূপার অলংকার জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হাতিয়া কোস্টগার্ড কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও পুলিশ বুড়িরচর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় দস্যু শামীম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য সোহেল (২৩), সুমন উদ্দিন (৩৫) ও তাদের নারী সহযোগী পারুল বেগম (৩২) কে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ৫টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির উপকরণ, ডাকাতির সরঞ্জাম, দুই বোতল চেতনানাশক ওষুধ, ২ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ ও ১০ ভরি ১৩ আনা রূপার অলংকার উদ্ধার করা হয়।
পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারে অবস্থিত প্রিয়া জুয়েলার্স থেকে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি করা ২০ ভরি ৪ রতি ৮ পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। চোরাই স্বর্ণ ব্যবসা ও মজুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ওই জুয়েলার্সের মালিক উজ্জ্বল বণিক (৪২) কে আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাত সদস্য ও নারী সহযোগী বুড়িরচর এলাকার এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী লক্ষীদিয়া, ওছখালী এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এমআর/টিআই/আরএন