খাগড়াছড়ির রামগড়ে শান্তি পরিবহনের নৈশকোচের একটি বাস খাদে পড়ে আট জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের মাহবুবনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- খাগড়াছড়ি সদরের জাহেদা আক্তার (৩৮), হাজেরা আক্তার (২৮) ও রেদোয়ার (৭), মুন্সীগঞ্জ জেলার নজরুল ইসলাম (৪২) ও খোরশেদ আলম (৫২), তানিয়া আক্তার (২২), গাড়ির সুপারভাইজার আজাদ হোসেন (৩৬) ও চালকের সহকারী রমজান আলী (৪৫)।
জানা যায়, ঢাকা থেকে সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শান্তি পরিবহনের নৈশকোচের একটি বাস মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে মাহবুবনগর এলাকায় অন্তত ১০০ ফুট পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে আট জন যাত্রীসহ ১০ জন ছিলেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী গুইমারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ব্যক্তিরা কেউ তাদের নাম, পরিচয় বলতে পারছে না বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।
নজরুল নামে গাড়ির এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, 'ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে আট জন যাত্রী নিয়ে গাড়িটি ছাড়ে। শুরু থেকে গাড়িটা ঠিক ভাবে চালাচ্ছিলেন না চালক। পথে মুন্সীগঞ্জে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। কুমিল্লা পৌঁছলে চালককে সর্তক করলে তিনি উল্টো আমাকে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। মূলত চালকের অদক্ষতায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।'
রামগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিশান্তর বড়ুয়া বলেন, 'ঘটনাস্থলে গাড়ির চালক-স্টাফ কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে শান্তি পরিবহনের অফিস স্টাফরা জানিয়েছেন- এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। কোম্পানির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িটি উদ্ধার করা হবে।'
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈনউদ্দীন বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
কেএস/এমএ