| BREAKING: |

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।
এর মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং রফিকুল ইসলাম বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বুধবার জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল এবং সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছুদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তিনি জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি।
অন্যদিকে, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পাওয়ায় গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তার লোকজনসহ পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়। অপরজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
এদের একজনের বাবা আওয়ামী লীগ সমর্থক, এবং এ কারণেই চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘আনোয়ারুল ইসলাম একজন প্রধান শিক্ষককে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি জবাব দিলেও তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাই তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এফএ/আরএন