Thursday | 23 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Thursday | 23 October 2025 | Epaper
BREAKING: কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জামায়াতের, জানালেন প্রধান উপদেষ্টাকে      সেন্টমার্টিন ভ্রমণে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা      কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি      আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা পালিয়েছে: আইনজীবী      বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, চেয়েছে নিরপেক্ষ ভূমিকা: আইন উপদেষ্টা      শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ      নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৩৮      

কক্সবাজার উপকূলজুড়ে নাজুক পরিস্থিতি, তলিয়ে গেছে সেন্টমার্টিন

Published : Friday, 30 May, 2025 at 9:47 PM  Count : 251

সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় দমকা-ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তাল সাগরের আগ্রাসনের কবলে পড়েছে উপকূলীয় এলাকা। একই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের অন্তত অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পুরোটাই।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, স্থল নিম্নচাপটির প্রভাবে সাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরী হচ্ছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকায় দমকা-ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ফলে কক্সবাজারে এখনও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ আছে। এতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৫২ মিলিমিটার।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সুগন্ধা পয়েণ্ট গিয়ে দেখা যায়, সাগর উত্তাল থাকায় জোয়ারের সময় পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সাগরপাড়ে ছুটে গেছেন হাজারো পর্যটক। উপভোগ করছেন ভয়ঙ্কর সাগর। সাগর একের পর এক ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দোকানপাট, ঝুঁকিতে সরকারি নানা স্থাপনা। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরের ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে ভিড় করেছে হাজারো ভ্রমণপিপাসু। তবে মাইকিং কিংবা সতর্ক করে তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লাইফ গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। একের পর এক বড় বড় ঢেউ এসে আঘাত করছে উপকূলে। ঢেউয়ের আঘাতে তলিয়ে যাচ্ছে সাগরপাড়ের দোকানপাট ও ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্স। মাঝে মাঝে ঢেউয়ের পানি চলে যাচ্ছে সড়কে।

সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, সৈকতের মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে শুরু শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত ঝাউগাছ উপড়ে যাচ্ছে জোয়ারের পানির আঘাতে। এরপর লাবনী পয়েন্ট সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা, ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্স ও দোকানপাট পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত। একই সঙ্গে সুগন্ধা পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দোকানপাট। এখানে বেশ কিছু দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে পানি আঘাত করেছে। এছাড়া কলাতলী পয়েন্টেও একই অবস্থা।

মোহাম্মদ শুক্কুর আরও বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কয়েক হাজার পর্যটক সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় করেছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ এর আগে দেখা যায়নি। পর্যটকদের সতর্ক করছি, মাইকিং করছি। কিন্তু কর্ণপাত করছেন অনেক পর্যটক। তর্কাতর্কিও জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপদ রাখার।

এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ সহ সমুদ্র উপকূলের অন্তত ৫০টি এলাকায় বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার তথ্য মিলেছে। সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতি দ্বীপ উপজেলার কুতুবদিয়ার।

এ দ্বীপের দক্ষিণে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে কবি জসীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বেড়িবাঁধ লাগোয়া বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। বিদ্যুৎ প্রকল্প ভবনের দক্ষিণ পাশে ৫০ মিটারের মতো ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকছে। এতে এ ইউনিয়নের পূর্বপাড়া, সন্দ্বীপপাড়া, হাইস্কুল পাড়া ও শান্তি বাজার এলাকা অন্তত তিনফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পাশের কৈয়ারবিল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিউল আলম কুতুবী জোনান, তার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধসংলগ্ন মৌলভী পাড়া ও মফজল আহমদ পাড়ার অন্তত ২০০ বাড়িতে পানি ঢুকেছে।

একইভাবে উপজেলার উত্তর ধুরং ইউনিয়নের মিয়ারাকাটা ও দক্ষিণ ধুরংয়ের বাতিঘর পাড়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, বায়ুবিদ্যুৎ এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করছে। দ্বীপের ৭-৮ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। 

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জামাল মোর্শেদ জানান, ‘কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২০টি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের ধাক্কায় পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। চার দিন ধরে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় চার দিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দ্বীপের বাসিন্দারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের সার্ভিস ট্রলার সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চার দিন ধরে সবধরণের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পণ্যবাহী ট্রলারও বন্ধ রয়েছে।

নৌযান বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম।

তিনি জানান, দ্বীপে কাঁচাবাজার ফুরিয়ে এসেছে। অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আজকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে তাও দাম চড়া। এ অবস্থায় দ্বীপের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। পুরো দ্বীপের মানুষ বন্ধি রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। এ কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌযান চলাচল করতে পারবে। পাহাড় ধসের সতর্কবার্তা।'

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাহাড়ে ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির রয়েছে। এসব আশ্রয়শিবিরে অন্তত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা পাহাড়ের ঢাল ও নিচে ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে বাস করেন।

এদিকে উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী।

তিনি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সিপিপি সদস্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ করছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্লাবিত গ্রামগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

তলিয়ে গেছে সেন্টমার্টিন, চারপাশে ভাঙন

জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপের চারপাশে। এছাড়া জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে সেন্টমার্টিনের অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। সাগরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে ঘাটে নোঙরে থাকা বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পর বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, রাতে বাতাস একটু কমলেও হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া বিএন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাতে আবারও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ।

অপরদিকে, গত চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপের মানুষের খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ওপর ঝোড়ো বাতাস ও সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা, স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল মালেক বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ফলে সাগরের তীরে থাকা কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে দ্বীপের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। এখনো অনেক বাড়িঘর পানিবন্দি হয়ে আছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছেন। কোনো ধরনের সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এখনো লোকজনকে সরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

ইউএনও আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চারদিন সেন্টমার্টিনে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো যেতে পারেনি। ফলে, খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে সময়। আবহাওয়া স্বাভাবিকের দিকে গেলেই দ্রুত পণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছি।

ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙছে মেরিন ড্রাইভ

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দুদিনের ভারি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ঢেউের আঘাতে মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ঘাট, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাফ ট্যুরিজম পার্ক এলাকার আনুমানিক ১০০ মিটারের উপরে ভেঙে গেছে। সেখানে থাকা কয়েকটা ঝাউগাছও ভেঙে পড়ছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে সড়কটি সাগরে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

বাহারছড়া ঘাটের বাসিন্দা করিম উল্লাহ বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকানো না গেলে সড়কটি যে কোনো সময় সাগরে তলিয়ে যাবেকুদ্দুস মিয়া নামে একজন বলেন, গভীর নিম্নচাপে সাগরের পানি বেড়েই চলছে। ঢেউের তোড়ে মেরিন ড্রাইভের শীলখালীর কিছু অংশ ভেঙে গেছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, জোয়ারে পানি বেড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটা অংশ ভাঙন দেখা দিছে। ভাঙনরোধে বসানো জিও ব্যাগ ছিঁড়ে যায়। এতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ে মেরিন ড্রাইভ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি অংশ ভাঙনের বিষয়টি জেনেছি। এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নির্মাণ, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া জেলার সদর, ঈদগাঁও, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়ায় লাখো পরিবার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। প্রতিবছর বর্ষায় বৃষ্টিতে এসব এলাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

অপরদিকে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে উখিয়া উপজেলা। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কিছু অংশে বিদ্যুৎ দেখা মিললেও অধিকাংশ এলাকা এখনো বিদ্যুৎ বিহীন বলে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে। যার ফলে মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়িঘরে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। 

এএইচএসইউ/এসআর

সম্পর্কিত   বিষয়:  কক্সবাজার  


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close