বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলোকে অযৌক্তিক বলার সুযোগ নেই। নতুন বাংলাদেশে কোনো ধরনের বৈষম্য চলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, তারা রাস্তা অবরোধ করেননি, জনদুর্ভোগও সৃষ্টি করেননি। বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে এবং জনভোগান্তি না ঘটিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন—তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক। কোনো ষড়যন্ত্রের তকমা দিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জাতির অভিভাবক হিসেবে পল্লী বিদ্যুতের সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন। সময় ক্ষেপণ না করে কার্যকর উদ্যোগ নিন, যাতে কর্মীরা দ্রুত দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন।
আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, যেসব কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফ্যাসিস্ট আমলে চাকরি হারালেও আফসোস ছিল না, কিন্তু ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর পরেও যদি এভাবে অন্যায়ের শিকার হতে হয়, তাহলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাত দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এই আন্দোলনের পেছনে দোসর কারা? যারা কর্মীদের কথা না শুনে তাদের আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, তারাই স্বৈরাচারের দোসর। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তিনি বলেন, অবিলম্বে উভয় পক্ষকে একত্রে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য যদি আবার রাজপথ গরম করতে হয়, তাহলে প্রকৃতপক্ষে ফ্যাসিবাদকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে। তাই কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।
এছাড়াও আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামাল হোসেন, এনসিপি, ‘জুলাই ঐক্য’ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসআর/আরএন