সাভারে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।
রবিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় এই সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড এর শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ঈদ বোনাসের দাবিতে রবিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড এর শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ থাকার পর খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়িয়ে দিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কারখানা কতৃপক্ষ আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এবং ওভারটাইমের টাকা পরিশোধ না করেই হঠাৎ কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এখন শ্রম আইন অনুযায়ী আমাদের বেতন-ভাতা এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
নারী শ্রমিক আরজিনা আক্তার বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে দেই দিচ্ছি বলে সময় পার করছেন। কয়েকদিন পর ঈদ। বাড়িওয়ালা এবং দোকান মালিক বাকি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সড়কে নেমেছি। অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধের জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অপর শ্রমিক হাজেরা বেগম বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে দোকানে বাকি করেছি। এখন আর দোকানদার বাকি দিতে চাইছে না। টাকার অভাবে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। কারখানার কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার সময় দিলেও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তবে বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কথা বলার জন্য কারখানাটির কর্তৃপক্ষ অথবা মালিক পক্ষের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলো। আধাঘণ্টা পর আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হেমায়েতপুরসহ কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ওএফ/এসআর