মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে আবারও কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন বাংলাদেশিকে ফেনী নদী দিয়ে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত এলাকায়।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের হেফাজতে নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে রামগড় বিজিবি জোন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইসমত জাহান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুশ-ইন হয়ে আসা পাঁচজনকে বিজিবি ও পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতের দিকে রামগড় ও ভারতের সাব্রুম সীমান্তের কাজীরচর এলাকা দিয়ে বিএসএফ-এর ১১৪তম ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পাঁচজনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফেনী নদীতে ঠেলে দেওয়ার সময় তাদের শরীরে প্লাস্টিক মোড়ানো ছিল। এভাবে অমানবিকভাবে নদীতে ঠেলে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে তাদের নাম জানা গেলেও সঠিক ঠিকানা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে।
পুশ-ইন হওয়া উমেদ আলী জানান, তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যাসহ ভারতের হরিয়ানায় দিনমজুরের কাজ করতেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে এক রাতে তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। পরে গতরাতে ভারতের সাব্রুম সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। এর আগে তাদের কাছ থেকে রুপি, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়।
এর আগে, গত ৭ মে খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে আরও ৮০ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এনএম/আরএন