আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এই সংশোধনের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি আজ রোববার জানা যায়।
প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো সংগঠন—যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা—আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করতে এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা পাবে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম—বিশেষ করে সাইবার স্পেসে—সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে।
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএন