বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের মাইঠা বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা ও মালামালসহ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বুধবার গভীর রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, উপজেলার মাইঠা বাজারে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মিলন গাজীর মুদি, মনোহরদি, প্রেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মন্নাত খন্দকারের একটি ক্লাব ঘর, ফেরদাউস খন্দকারের মুদি মনোহরদি দোকান, জব্বার খন্দকারের চায়ের দোকান, খাদিজা বেগমের চায়ের দোকান, রুহুল আমিন খন্দকারের বৈদ্যুতিক মালামাল ও ফারুক মোল্লার খাবার হোটেলসহ মোট ৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া নাজমুল আহসান মিঠুর সার ও ঔষধের দোকানটি আংশিক পুড়ে গেছে। ওই অগ্নিকাণ্ডে ৭টি দোকান ঘর পুড়ে মোট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি মনোহরদি, ডিজেল প্রেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মিলন গাজী বলেন, “আমার দোকানে থাকা মালামালসহ ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার আর কিছুই রইল না।”
অপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক রুহুল আমিন খন্দকার বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে আমার ১টি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকানসহ আশপাশের ৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. হানিফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগ্নিকাণ্ডে ৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা এবং দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।”
এসকে/আরএন