মেহেরপুরে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম
কমে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন ভোক্তারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য হয়ে এই প্রতিবেদক জেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখেন, তথাকথিত সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শীতের সবজি এখনো বাজারে আসছে বলে ভোক্তাদের অভিমত।বাজারে রমজান শুরুর আগের দিন প্রতি কেজি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সেই শসা এখন প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু প্রতি পিস ২৫ টাকার পরিবর্তে ৮ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সব সবজি বাজারে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এক পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা এবং ফুলকপি ১০ টাকায়।
মাছের বাজার আগের মতোই যুক্তিসঙ্গত ও স্থিতিশীল। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া মূল্যে গরুর মাংস ৭০০
টাকা, খাসীর মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ব্রয়লার ১৮০ টাকা, কক ২২০ টাকা, লেয়ার মোরগ ৩০০-৩২০ টাকায়, সোনালী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকায়।
ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।
বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমেছে। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা এবং সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা কেজি। মোটা চাল কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। লুজ আটা (লাল ৫০ টাকা আর সাদা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
বিভিন্ন স্তরের ভোক্তারা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যৌক্তিক দাম পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের পবিত্র রমজান মাসে যৌক্তিক মূল্য ও লাভের মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলেন। তিনি গত ০৫ মার্চ তার কার্যালয়ে বৈঠক করে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ টাস্কফোর্স তাদের বাজার মনিটরিং কাজ চালিয়ে যাবে।
এমআর/এমএ