কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স ভেবে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল দম্পতিকে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ১৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন (৪৫)কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজারহাট থানা পুলিশ অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানান, উপজেলার নাজিমখান ইউপি ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি জখম করায় রাজারহাট থানা পুলিশ নিজাম উদ্দিনকে সোমবার (৩মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন ওই ইউনিয়নের বারোসুদাই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নুরুদ্দিনের ছেলে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১মার্চ) গভীর রাতে বারোসুদাই গ্রামের মাদক কারবারি নিজামুদ্দিনের বাড়িতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নিজামুদ্দিন বাড়িতে না থাকায় যৌথবাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিজাম উদ্দিনের সন্দেহ ছিল, নাজিমখান ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মাইদুল ইসলাম যৌথবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে। পরদিন রোববার (২মার্চ) বিকালে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম ইফতার সামগ্রী কেনার উদ্দেশ্যে বাজারে যাচ্ছিল। সে নিজাম উদ্দিনের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে নিজামুদ্দিন ও তার লোকজন ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী জবা বেগম ছুটে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকবাসীরা আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বড়ো ভাই আমিনুর ইসলাম লাল বলেন, মাদক সম্রাট নিজাম উদ্দিনের নামে যৌথবাহিনী সহ বিভিন্ন থানায় ৬/৭টি মামলা রয়েছে। নিজামের ভাই পুলিশ ও সেনা সদস্যের চাকরি করায় বারবার তারা সুপারিশ করে নিজম উদ্দিনকে মামলা থেকে ছাড়িয়ে নেন। যার ফলে দিনে দিনে নিজামুদ্দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তছলিম উদ্দিন বলেন, ইউপি সদস্য মাইদুলের পরিবার সোমবার মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
পিএমএস/এসআর