আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলায় বিএনপি এবং বিজেপি (আন্দালিব রহমান পার্থ) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক পুলিশ, দুই সাংবাদিকসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নতুন বাজার বিজেপি অফিসের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নতুন বাজার থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় ভোলা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আউয়াল, নিউজ ২৪ এর ক্যামেরা পার্সন রানা ইসলাম এবং দৈনিক আজকের ভোলার সহ সম্পাদক শাহরিয়ার ঝিলনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের পর দুপুর ২টায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, বিজেপির কর্মসূচী শেষ হওয়ার কথা বেলা ১২ টার আগে। আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিছিল নামিয়েছি। আমাদের মিছিলটি কাবিল মসজিদের কাছাকাছি গেলে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষের শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচন বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে তৃতীয় একটি পক্ষ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। পায়ে পারা দিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নষ্ট করছে।
রাইসুল আলম আরও বলেন, এক পর্যায়ে তিনিসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উত্তেজিত নেতা কর্মীদের শান্ত করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপর দিকে সদর বিজেপির প্রচার সম্পাদক এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম বলেন, মূল বিএনপি নয়, বিএনপির একটি গ্রুপ তাদের অফিসে হামলা করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। এতে বিজেপির অন্তত ১০/১৫ জন আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন বাজার ও বিজেপি অফিসের সামনে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
এএম/এসআর