ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে ১৫ মাসে আমার যথেষ্ট সফলতা অর্জিত হয়েছে। আর যেগুলো আমি করতে পারিনি, সেগুলো আমার ব্যর্থতা। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তারপরও আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমরা একটি স্বচ্ছ প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা শহরের জালাসী এলাকায় পঞ্চগড় দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদরাসা মাঠে পঞ্চগড় জেলার তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত “আজিমুশান শানে রিসালাত সম্মেলন”-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের সরকারের বয়স ১৫ মাস। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি। হজ ব্যবস্থাপনায় সংস্কার এনেছি। মডেল মসজিদগুলো নির্মাণে যেখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর জন্য আমরা একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছি। তারা খুব শিগগিরই আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কিছু অনিয়ম ছিল—আমরা একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। গতকাল তারা আমাকে রিপোর্ট দিয়েছেন, এবং তদন্ত অনুযায়ী আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, হজের টাকা হিসেবে ৩৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে আটকে ছিল। আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই, এবং আমার অফিসাররাও যাতে দুর্নীতিমুক্ত থাকে সে ব্যাপারে আমি যথেষ্ট সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল আলম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল হাই, সহ-সভাপতি ক্বারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মাহমুদ, এবং খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম. খালিদ হোসেনকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে পঞ্চগড় তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি ওলামায়ে কেরামগণ তাঁর হাতে তুলে দেন।
এসআই/আরএন